পরিবারের বাধার মুখে মৃত্যুর ৩৬০ দিন পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মাগুরার আসিফ ইকবাল রাব্বির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম আদালতের (পল্লবী আমলী) নির্দেশে সোমবার সকালে মাগুরার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম লাশ উত্তোলনের জন্য শ্রীপুর উপজেলার নোহাটা সম্মিলিত কবরস্থানে যান। সেখানে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক এমরানুল হাসান ও মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ওসমান গণি ও শ্রীপুর থানার এসআই মনসুর আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে রাজি না হওয়ায় তারা ফিরে যান।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর ফলপট্টি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আসিফ ইকবাল রাব্বি (২৯)। তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের নোহাটা গ্রামে। দুই ভাই বোনের মধ্যে আসিফ ছিল বড়। তার মায়ের নাম রাবেয়া সুলতানা ডেইজি। তিনি ঢাকার বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করে জারা বাইং হাউজে চাকরি করতেন।
আসিফের বাবা জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয় সে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর ফলপট্টি এলাকায় গুলিতে আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছেন।
এদিকে মো. নওশাদ আলী নামে ঢাকার মিরপুরের বাউনিয়া বাঁধ এলাকার এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ১৪৬ জনকে আসামি করে একই ঘটনায় ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম (পল্লবী আমলী) আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর-৬৮৪/২০২৪। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. এ আরাফাত, পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস মোল্লাসহ ১৪৬ জন ও অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন। সোমবার সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক এমরানুল হাসান ময়নাতদন্তের প্রয়োজনে লাশ উত্তোলনের জন্য ঢাকা থেকে একটি টিম নিয়ে এখানে এসেছিলেন।
