পাবনার বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের পর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
আজ রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারির তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের অধীনস্থ তারাপুর গ্রামে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারি, অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র প্রদর্শনীসহ দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটছে। এছাড়া পুনরায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে বেড়া থানার ওসির মারফতে জানা যায়। এমতাবস্থায় ওই এলাকায় ২৭ জুলাই ২০২৫ এর সকাল ১০টা থেকে ২৮ জুলাই ২০২৫ এর সকাল ১০টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এসময় সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোঁটা বহন ও প্রদর্শন, যেকোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ ও মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।
কয়েক বছর আগে বেড়া উপজেলায় পুরনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় আরেকটি পক্ষ।
এনিয়ে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ। এসময় হাসুয়া, ট্যাঁটা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। সবশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত হাদিস নামের একজনের মৃত্যুর খবরে ওই এলাকার ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।