বিমান বিধ্বস্তের কয়েকদিন পরও স্বাভাবিক হয়নি উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিবেশ। প্রতিদিনের মতো শনিবার (২৬ জুলাই) স্কুলটির সামনে দেখা গেছে উৎসুক মানুষের ভিড়, যেটি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ক্লাসরুম এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত। যেখানে একসময় শিক্ষার্থীরা সারি সারি বেঞ্চে বসে পাঠগ্রহণ করত, এখন সেখানে ছড়িয়ে আছে ধ্বংসের চিহ্ন। সাদা দেয়ালগুলো হয়ে উঠেছে বিবর্ণ। স্কুলের মাঠে থাকা শখের দোলনাগুলো, যেখানে আগে ছিল শিশুদের কোলাহল—সেই দোলনাই যেন আজ এক ভয়ংকর স্মৃতির সাক্ষ্য দিচ্ছে।
বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও সহপাঠীদের মৃত্যু দেখার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা। আকাশে কোনো শব্দ হলেই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অভিভাবকরাও সন্তানের মানসিক অবস্থান নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। এ পরিস্থিতিতে, শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু মানসিক পুনরুদ্ধারে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে। অভিভাবকদের অনেকে বলেছেন, শিশুদের ভয়-আতঙ্ক দূর না করে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করা উচিত নয়।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহজুড়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও আহতদের ঘটনায় জাতি শোকাহত। এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—আহতদের চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের মানসিক পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।