এনসিএল দিয়ে রোববার থেকে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ফেরার কথা ছিল। ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি২০তে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সিলেট ও রংপুর বিভাগের। কিন্তু সারাদেশে ঝরা বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি মাঠে গড়ায়নি। পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। তার চেয়ে বড় দুঃসংবাদ হচ্ছে, বগুড়া স্টেডিয়াম এখনো ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় ম্যাচগুলো রাজশাহী নিয়ে আসা হয়েছে। ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ দুটি হবে বগুড়ার শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে।
টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘বগুড়ার মাঠ ঠিক হতে এখনো দুই-তিন দিন লাগবে। ওইখানে কালকের (সোমবার) যে ম্যাচগুলো আছে, সেগুলো এখানে (রাজশাহী) নিয়ে আসব। এখানে দিনে দুইট ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছি। কাল ও পরের দিনের বগুড়ার খেলা এখানে হবে।’
জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, জাতীয় দলে ঢোকার লড়াইয়ে থাকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর বগুড়ার ভক্তরা শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খেলা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। বগুড়ায় ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ম্যাচ হওয়ার কথা। মাঠ প্রস্তুত হয়ে গেলে ১৭, ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বরের খেলা সেখানে হতে পারে।
তবে ক্রিকেটারদের বগুড়া থেকে রাজশাহী আসা, আবার বগুড়া ফিরে যেতে বাড়তি ভ্রমণ করতে হবে। আকরাম খান জানান, এই মুহূর্তে অন্য কোন উপায় নেই। ম্যাচ না খেলার চেয়ে কষ্ট করে খেলা ভালো, খেলোয়াড়রা ত্যাগ স্বীকার করছে। না খেলার চেয়ে তো খেলা ভালো। একটা ঘণ্টা হয়তো বেশি জার্নি করতে হবে। কিছু করার নেই।
রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে না পারার কারণ হলো, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল নেই। যে কারণে বিসিএলের বাইরে কোন টুর্নামেন্ট হয় না সেখানে। স্টেডিয়ামও সংস্কার করে আন্তর্জাতিক মানে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় না।
তবে এনসিএলের জন্য যে হোটেল বিসিবি ব্যবস্থা করেছে তা বেশ ভালো বলে উল্লেখ করেছেন আকরাম খান, এখানে কিছু সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো গেলে অনেক ভালো হতো। স্টেডিয়ামে লাইটের সবকিছু আছে কিন্তু লাইট নেই। তাছাড়া পুরো টুর্নামেন্ট এখানে করা যেত। এখানে বিনিয়োগ করাই আছে। আর কিছু টাকা খরচ করা গেলে প্রতিদিন দুই ম্যাচ করা যেত। বাকিগুলো ভালো আছে। হোটেলও ভালো। সবকিছু ভালো, শুধু কিছু সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো গেলে খুব ভালো ক্রিকেটের পরিবেশ হবে।