৮ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

‘মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন দুস্থদের সহায়তা করতে হবে ভেবে গিয়েছিলেন’

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন ‘দুস্থদের সহায়তা করতে হবে ভেবে গিয়েছিলেন’ বলে জানিয়েছেন পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) নবনিযুক্ত প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় এটিইউ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেককে আমরা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সবাই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জেনেছি, তারা কেউ ওই রকমভাবে জড়িত ছিলেন না। তারা মনে করেছিলেন, দুস্থ ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। সেজন্য মালয়েশিয়ার সরকারও তাদের ক্লিয়ার করে দিয়েছে। তবে এর পেছনে কেউ জড়িত কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এর আগে জুলাইয়ে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তারের কথা জানায় মালয়েশিয়ার পুলিশ। তারা দাবি করে, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি শ্রমিকরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএসের কাছে টাকা পাঠাতেন। এ বিষয়ে এটিইউ প্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী নয়। তবে কখনও কখনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে বা ভেজাল কোনো ব্যক্তির খপ্পরে পড়ে বা দেশি–বিদেশি চক্রান্তে পড়ে কেউ কেউ বিচ্যুত হতে পারেন। এই আশঙ্কা তো থেকেই যায়। সে কারণে এসব বিষয়কে আমরা নজরদারিতে রাখব, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের সৃষ্টি না হতে পারে।

এক সাংবাদিক বলেন, বিগত সরকারের আমলে জঙ্গি দমনের নামে নাটক হতো- এমনটা বলা হচ্ছে। দেশে জঙ্গিবাদ আসলেই আছে কিনা? জবাবে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, পেছনে কী হয়েছে না হয়েছে আপনারাও জানেন, আমরাও জানি। আমরা বলতে চাচ্ছি– সত্য সত্যই আর মিথ্যা মিথ্যাই। সেই জায়গায় আমরা অবিচল থাকব। কেউ অপরাধ করে থাকলে সেই অপরাধের কোনো ছাড় নেই। আমরা জঙ্গিবাদ নিয়ে দেশে এ রকম কিছু এখনও দেখিনি। কেউ যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপথে চলে যায়, সে জায়গায় আমাদের কাজ করার সুযোগ আছে। সেটাই আমরা নজরদারি করব।’

তিনি বলেন, একটিমাত্র সন্ত্রাসী ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। স্বল্পশিক্ষিত ও বিভ্রান্ত মানুষ কীভাবে ভুল আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়, ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলা তার উদাহরণ। সব ধর্মই শান্তির শিক্ষা দেয়, কোনো ধর্মই উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। এ প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমকে সঠিক বার্তা প্রচার এবং ধর্মকে অপব্যবহারকারী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করার আহ্বান জানান তিনি।

এটিইউ প্রধান বলেন, বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ নেই। তবে ভবিষ্যতে কেউ জঙ্গিবাদে জড়াবেন না- এর নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তাই থেমে থাকার সুযোগ নেই, আরও গুরুত্কাবের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয়, সহনশীল মুসলিম দেশ, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ‘ইনফোমেট’ নামে একটি অ্যাপ এবং একটি যোগাযোগ নম্বর চালু করা হয়েছে, যেখানে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x