শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা রোধে শিক্ষা-সংশ্লেষবিহীন মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এমন নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সরকারের এমন আদেশের পর এ নিয়ে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। এর আগে গেল নভেম্বরে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সংশ্লেষবিহীন বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া এ ধরনের অনাহত কার্যক্রম শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝে নানা উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই পেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী ও শ্রেণিমুখী রাখা এবং বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। কো-কারিকুলার কার্যযক্রমের ওপর একটি তালিকা নমুনা স্বরূপ সংযুক্ত করা হলো। এ লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে সরকারের এমন আদেশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, ছাত্রদের ব্যবহার করা শেষ, উল্টো ছাত্ররা এখন তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে সেই ভয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে।
কেউ মন্তব্য করেছেন, ধন্যবাদ। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে সুস্থধারার রাজনীতি করার জন্য রাজনৈতিক প্লাটপর্ম বা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। যাতে জনমানুষের অধিকার এবং দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, হিংসা হানাহানি ভুলে গিয়ে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আরেক মন্তব্যে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, অনেক ভালো সিদ্ধান্ত, শিক্ষার্থীরা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। আরেকজন লিখেছেন, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় সরকারকে।