রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা সম্পর্কে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ মূল অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে হেফাজতে নেয় এবং তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যমোতাবেক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারেক রহমান রবিনকেও গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া যায় যা পুলিশি তদন্তের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এরপরও উক্ত ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে নানাধরনের অপতথ্য ছড়াচ্ছেন যা মোটেই কাম্য নয়। এমতাবস্থায় উক্ত ঘটনা সম্পর্কে কোনোরূপ অপতথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
ডিএমপি জানিয়েছে, এঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা যে দল বা মতের লোকই হোক না তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।