মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে পাথর নিক্ষেপকারী হিসেবে চিহ্নিত সাদা শার্ট পরা সেই যুবককে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে এঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে এঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন- জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি।
গত বুধবার হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফালাফি কেউ কেউ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে বুধবার দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যায় তাকে হত্যা করা হয়। সোহাগ পুরনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
সোহাগকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা হয়েছে। নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।