মুকেশ আম্বানি ধনকুবের (বিশ্বের ১৮তম ধনী ব্যক্তি তিনি। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৯২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), রাজকীয় জীবনযাপন তার। বিলাসিতা আর বৈভবে তার জীবন মোড়া হলেও, খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে তিনি একেবারেই ছিমছাম, ঘরোয়া। ৭০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যেভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন, সেটা খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনেই সম্ভব হয়েছে।
তার স্ত্রী নিতা আম্বানি জানিয়েছেন, নিরামিষ খান মুকেশ। তিনি বিশ্বাস করেন, শক্ত হাতে সমস্ত দায়িত্ব সামলাতে হলে শরীর সুস্থ রাখতে হবে। আর শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও নিজের যত্ন নিতে ভোলেন না। অনেকেরই ধারণা, আম্বানিদের খাবারের মেনু বোধহয় বিলাসিতায় মোড়া। তিনবেলা সৌখিন খাবার খান তারা। সত্যিই কি তাই?
নিতা কিছু দিন আগেই মুকেশের ডায়েট প্রকাশ্যে এনেছিলেন। খাওয়াদাওয়া নিয়ে মুকেশ খুঁতখুঁতে। তবে মুকেশ খাদ্যরসিকও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুকেশ ঠিক কী কী খান?
সকালের নাশতা
দিনের শুরুতে একেবারে হালকা খাবার খান মুকেশ। সকালের নাশতায় কোনো ভাজাভুজি, তেল-মশলা ছুঁয়েও দেখেন না তিনি। সকালে মুকেশ খান তাজা কিছু ফল, ফলের রস। ভারী খাবারের মধ্যে থাকে ইডলি-সম্বর। মাঝেমাঝে দোসা, পোহাও থাকে। দুগ্ধজাত খাবারও থাকে কখনো কখনো।
দুপুরের খাবার
মুকেশ নিরামিষ খান। তাই তার দুপুরের মেনুতে মাছ-মাংস-ডিম কিছুই থাকে না। অনেকেরই প্রশ্ন, তা হলে মুকেশ কী খান দুপুরে? ভাত, ডাল মাখানি, সবজি, পাপড়, সালাদ, পনির, চাটনি- বেশির ভাগ দিনই এটাই দুপুরের মেনু থাকে মুকেশের। তবে মাঝেমাঝে ভাতের বদলে রুটি, ডালও খান।
রাতের খাবার
রাতে একেবারে অল্প খাবার খান মুকেশ। ৮টার আগেই রাতের খাবার খেয়ে নেন মুকেশ। তার রাতের খাবারে থাকে একটা রুটি। সেই সঙ্গে ডাল, সবজিও খান তিনি। বাড়ির খাবার খেতেই সবচেয়ে ভালোবাসেন মুকেশ। বাড়ির রান্নাঘরে তৈরি খাবার ছাড়া মুখে তোলেন না।