টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ছুটছে লাখো মানুষ। কর্মজীবী মানুষের ঢল নেমেছে টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে। তবে, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের যমুনা সেতুর ওপর ১৮টি যান বিকল হওয়ার ঘটনায় মহাসড়কে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী লেনে দিনভর ছিল অসহনীয় জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি। পরে দ্রুত যানজট নিরসনে সেতুর এক লেন দিয়ে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারপার করে সেতু কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যানবাহন নষ্টের কারণে গত শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাত থেকে শনিবার (১৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার ও সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে প্রায় ১৫/২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
সরজমিন বিকালে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব গোল চত্বর ঘুরে দেখা যায়, ঢাকার পথে যানবাহনের ঢল ছিল। তীব্র রোদ ও গরম অপেক্ষা করে খোলা ট্রাক-পিকআপসহ বাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। এসব যানবাহনের মধ্যে ফিটনেসবিহীন ও লক্কর-ঝক্কর পরিবহন ছিল চোখে পড়ার মতো এবং যানবাহন ধীরগতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, গত শুক্রবার রাত ১০টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত যমুনা সেতুর ওপর কমপক্ষে ১৮টি গাড়ি বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে করে দফায় দফায় সেতুর উভয় অংশে টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। ইতিমধ্যে রেকার দিয়ে ১১টি সরানো হয়েছে। বাকিগুলো সরানোর কাজ দ্রুত চলছে। খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ জানান, যমুনা সেতুর ওপর যানবাহন বিকল হওয়ার ঘটনায় শনিবার ভোর থেকে যানবাহন ব্যাপক ছিল। ফলে সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা থেকে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি ছিল। তবে, এদিন সন্ধ্যার পর উত্তরবঙ্গগামী লেনে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকলেও ধীরগতি রয়েছে এবং ঢাকাগামী লেনে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলাচল করছে। যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।