ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক মিসাইল সরবরাহ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার (৫ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পুতিন বলেন, উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- ইউক্রেনে নতুন অস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে টমাহকের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করবে। এই সম্পর্কের মধ্যে যে ইতিবাচক সম্ভাবনা ছিল সেটিও শেষ হয়ে যাবে।
এর আগে, গতকাল এক ফোরামে অংশ নিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে মার্কিন টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কে সম্পূর্ণ নতুন স্তরের উত্তেজনা দেখা দেবে। এটি যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন করবে না। এ সময়, এই যুদ্ধে রাশিয়ান সেনাবাহিনী ধীর কিন্তু অবিচলিত গতিতে অগ্রগতি লাভ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগস্টে আলাস্কায় এক শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের সাথে দেখা করেন। তবে তাদের সেই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান নিয়ে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব এরপর থেকে বেড়েই চলছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, শান্তিচুক্তি না করায় তিনি পুতিনের ওপর হতাশ। ইউক্রেনকে দমন করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য রাশিয়াকে ট্রাম্প ‘কাগুজে বাঘ’ বলেও অভিহিত করেছেন। পুতিন গত সপ্তাহে পাল্টা আক্রমণ করে প্রশ্ন তোলেন, রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ন্যাটো কি ‘কাগুজে বাঘ’ নয়?
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গত মাসে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার গভীরে আঘাত করতে পারে এমন দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ইউক্রেনের অনুরোধ বিবেচনা করছে। রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদক পাভেল জারুবিনের প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপে পুতিন বলেছেন, “এর ফলে আমাদের সম্পর্ক ধ্বংস হবে, অথবা অন্তত এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক প্রবণতাগুলো উঠে এসেছে, তা ধ্বংস হয়ে যাবে।”