২৭ জুলাই ২০২৫ রবিবার
প্রকাশ : ৫ জুন ২০২৫, ৮:২৪ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ায় আশুলিয়া থানার ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশ : ৫ জুন ২০২৫, ৮:২৪ পিএম

ঢাকা আশুলিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এক মাসের মাথায় প্রত্যাহার করে সংযুক্ত করা হয়েছে ঢাকা রেঞ্জে। তবে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির খেতাব পাওয়া অজানা কারণেই প্রত্যাহার টি বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। অবশেষে কারণ জানা যায় বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক প্রজ্ঞাপনে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করার পরও মামলা না নেওয়ায় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৪ জুন) বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে সেই মামলা টি থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে ৪ই জুন রাতে। সেখানে আসামী করা হয়েছে যুবদল নেতা শিপলু ভূঁইয়াসহ ১১জনকে। বাদী ভুক্তভোগী মো. শাওনের ভাই রুবেল শিকদার। আদালতে নির্দেশ থাকলেও মামলা না নেওয়ায় প্রত্যাহার হোন ওসি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওসির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের মাত্রা বিবেচনা করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি ঢাকা রেঞ্জে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এর আগে গত ২৯ মে ঢাকার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত আশুলিয়া থানা আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ এক আদেশে উল্লেখ করেন, আশুলিয়া থানার ওসি আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কিত মামলা রুজুর বিষয়ে অবহেলা প্রদর্শন করেছেন। যা দায়িত্ব অবহেলার শামিল।

ওই বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য আশুলিয়া থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও নালিশী দরখাস্তটি আগামী সাত দিবসের মধ্যে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে আদেশের অনুলিপি পুলিশ সুপার ঢাকাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। ভুক্তভোগী মো. শাওন আশুলিয়া জামগড়া এলাকার মো. শাহিন শিকদারের ছেলে। অভিযুক্ত যুবদল নেতা শিপলু ভূঁইয়া একই এলাকার ছাত্তার ভূইয়ার ছেলে।

এদিন আদালতে নালিশি দরখাস্তটি দাখিল করেন ভুক্তভোগী মো. শাওনের ভাই রুবেল শিকদার। দরখাস্তে তিনি উল্লেখ করেন, শিপলু ভূঁইয়াসহ নামীয় ১১ জন ও অজ্ঞাতনামা ১৫ জন আসামি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে গত ১৮ই মে শাওনের পথরোধ করে। ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। ছুরিকাঘাতে শাওনের মাথা ফেটে রক্তাক্ত যখম হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা নেয়নি।

এ ব্যাপারে বাদী রুবেল শিকদারের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী শিপলু ভূইয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ না করে তার মুঠোফোন বন্ধ করে দেন। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবীর বলেন, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাব আল হোসেনকে ঢাকা জেলা রেঞ্জে যুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়াতে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x