রংপুরে ‘মব সৃষ্টি’ করে জ্যেষ্ঠ এক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রোববার দুপুরে নগরীর কাচারিবাজার থেকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলের। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন ও দৈনিক পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। লিয়াকত আলী জানান, এনায়েত আলী ওরফে রকি ও তার লোকজন তুলে নিয়ে তাকে মারধর করে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। সংবাদ প্রকাশের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তার।
সাংবাদিক লিয়াকত আলী বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রদানে দুর্নীতি-সংক্রান্ত একটি সংবাদ করায় আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে সন্ত্রাসী এনায়েত আলী ওরফে রকি ও তার লোকজন আমাকে মারধর করে নিয়ে যায়। পরে সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চেম্বারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং জোর করে ক্ষমা চাইতে বলে। আমি অন্যায় করিনি, তাই ক্ষমা চাইনি। আমি ন্যায়বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে এনায়েত আলী দাবি করেন, তিনি জুলাই আন্দোলনের একজন রাজবন্দী সৈনিক। আমাদের কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থার জন্য যদি সরকারি কোনো অর্থায়ন কেউ কোনো সাইড (দিক) দিয়ে করে, সেটাকে নিয়ে লেখালেখি করে জুলাই রাজবন্দীদের বা জুলাই নিয়ে বিকৃত করার কোনো দরকার কি কারও আছে? সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে তার দাবি, তাকে আপসে নিয়ে আসা হয়েছে। কোনো অসম্মান করা হয়নি।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উম্মে ফাতিমা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন। কেউ প্রমাণ করতে পারলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে, আমি মেনে নেব। রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে একজনের নাম জানতে পেরেছি।