Site icon সারাবেলার খবর

‘রজনীকান্ত স্টার হন অমিতাভের ছবি রিমেক করে’

ইদানীং বলিউড কিছু পারে না, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিগুলিই ভালো ছবি বানায়, এরকম একটা ধারণা তৈরি হয়েছে হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে। এক দিকে তেলুগুতে ‘বাহুবলী’, ‘পুষ্পা’ এবং কন্নড়ে ‘কেজিএফ’-এর মতো ব্লকবাস্টার। অন্যদিকে মালয়ালামে ঘন ঘন উচ্চমানের ড্রামা, যেগুলোতে ফাহাদ ফাজিল এবং দুলকার সালমানের মতো গুণী অভিনেতাদের দেখতে পাওয়া যায়। তামিল সিনেমা আবার তেলুগু-কন্নড় মার্কা মারকাটারি ‘মাস’ ছবি এবং রুচিশীল মালয়ালম ড্রামার মাঝখানে জায়গা করে নিয়েছে।

শুধু বলিউডই দক্ষিণী ছবির রিমেকের ভরসায় টিকে আছে, এমনটাই অনেকে মনে করেন। কথাটা খুব একটা ভুলও নয়। তবে এই প্রসঙ্গে তেলুগু-হিন্দি পরিচালক রাম গোপাল বর্মা সম্প্রতি মনে করিয়ে দেন, সাউথের অধিকাংশ তারকা জনপ্রিয় হয়েছেন শুধুমাত্র বলিউড ছবি রিমেক করে।

অমিতাভ বচ্চনের হিট ছবির রিমেক করে রজনীকান্ত স্টার হন
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ভুল কিছু বলেননি ‘সত্যা’, ‘রঙ্গিলা’, ‘কোম্পানি’ এবং ‘সরকার’-এর মতো ছবির পরিচালক রাম গোপাল বর্মা। রজনীকান্তের আশির দশকের বড় বড় হিটের কথাই যদি ধরা যায়, তাহলে সেগুলো মূলত অমিতাভের ছবির রিমেক। যেমন ‘ডন’ হয়ে যায় ‘বিল্লা’ (১৯৮০), ‘দিওয়ার’ থেকে হয় ‘থী’ (১৯৮১), ‘ত্রিশূল’-এর রিমেক হয় ‘মি. ভরত’ (১৯৮৬)।

‘ইন্ডিয়া টিভি’-র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে রামু বলেন, ‘সত্তর ও আশির দশক ধরে রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, এনটি রামা রাও, রাজকুমার চারজনেই শুধু অমিতাভ বচ্চনের ছবির রিমেক করে যান। তারপর মি. বচ্চন পাঁচ বছরের ব্রেক নেন। ঠিক সেই সময়, মিউজিক কোম্পানিগুলো ছবি বানাতে শুরু করে তাদের গান বেচার জন্য। তখন ‘ম্যানে প্যার কিয়া’-র মতো ছবি হতে শুরু করে। বলিউড ‘মাসালা’ ছবি বানানো বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সাউথে বচ্চনের ধারাটা বজায় থাকে। ওরা ‘মাসালা’ ছবি বানানো বন্ধ করেননি। এভাবেই এখানকার স্টারেরা ধীরে ধীরে ‘ডেমিগড’-এ পরিণত হয়।’

মুম্বাইয়ের পরিচালকরা বেশি ইংরেজি ছবি দেখে ফেলেছেন
তিনি আরো বলেছেন মুম্বাইয়ের পরিচালকরা অতিরিক্ত ইংরেজি এবং বিদেশি ছবি দেখে ফেলে ‘দেশি’ ছবি তৈরি করতে ভুলে গেছেন। তিনি বলেন, ‘সাউথের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ছবির পরিচালক খুব একটা সিনেমা দেখেননি। তারা আপনার আমার মতো এত সিনেমা নিয়ে কথা বলেন না। তারা এখনও মাটির সঙ্গে জুড়ে আছে।’

মুম্বাইয়ের প্রযোজক রামুকে বলেছিলেন ‘পুষ্পা’ কেউ দেখবে না
তার চেনা এক প্রযোজকের ‘পুষ্পা’ দেখে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা নিয়েও কথা বলেন রামু। বলিউডের সেই প্রযোজক না কি ধরেই নিয়েছিলেন ‘পুষ্পা’ সফল হবে না।

রামু বলেন, ‘পুষ্পা হলে বেরোনোর ৩-৪ দিন আগে এই প্রযোজক ছবিটি দেখেন। তিনি বলেন, অডিয়েন্স পুষ্পা দেখে বমি করবে। উনি কিন্তু অভিনেতা আল্লু অর্জুনের কথা বলছিলেন না। উনি চরিত্রটার কথা বলছিলেন। মানে মুম্বাইয়ের পরিচালক, প্রযোজকরা সিক্স-প্যাকওয়ালা, সুন্দর হিরো দেখতে এত অভ্যস্ত, ওরা পান খাওয়া হিরো পর্দায় দেখে বুঝতে পারছে না এ কি করে হিরো হয়েছে…’

Exit mobile version