বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে জমজমাট প্রচার চালিয়েছেন। প্যানেলভুক্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ দিনও ভোটারদের কাছে গেছেন, শুনেছেন শিক্ষার্থীদের চাওয়া। দিয়েছেন শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার নানা প্রতিশ্রুতি। ছাত্রী, অনাবাসিক শিক্ষার্থী ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোট টানতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
এবারের রাকসু, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন। এই ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ আবার অনাবাসিক। জানা গেছে, এই অনাবাসিক ভোটারদের মাথায় রেখেই নিজেদের আলাদা আলাদা কৌশল সাঁজাচ্ছে প্যানেলগুলো। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে প্যানেলগুলো তাদের ইশতেহার তৈরি করছে।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ এর ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইশতেহার আহ্বান করেছিলাম। শিক্ষার্থীরা যেসব ইশতেহার দিয়েছেন, সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করে, নিজেদের ইশতেহার তৈরি করছি। আমরা খাবারের মান উন্নয়ন, আবাসিক সংকট নিরসন, নারী শিক্ষার্থী ও দল মত নির্বিশেষে সবার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস, শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে কাজ করবো। ছোট-বড় সব সমস্যা সমাধানের রোডম্যাপ প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করে নেবো।’
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আমরা আবাসন সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা যতদিন হল পাবেন না, ততদিন প্রশাসনকে তাদের আবাসন ভাতা দিতে হবে। এছাড়া মেডিকেল সেন্টার উন্নত করে, মানসম্মত মেডিকেল স্থাপন করতে হবে। সাইবার বুলিং রোধে শক্তিশালী এন্টি সাইবার বুলিং সেল গঠনের আশ্বাস দিচ্ছি শিক্ষার্থীদের।
রাকসুর প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের তাসিন খান বলেন, আমরা ১২টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছি, নির্বাচিত হলে যেগুলো নিয়ে আগামী একবছর কাজ করবো। এই ১২টা পয়েন্টে কাজ করলে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূরত্ব নিরসন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কোনো মাস্টারপ্ল্যান নেই। আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে ১০ বছরের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান আদায় করে নেবো।