ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। রোববার (২০ এপ্রিল) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকে প্রধানমন্ত্রীর। সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত-পা বেঁধে দিলে কাজ করতে পারবেন না। ন্যাশনাল কন্সটিটিউশন কাউন্সিল (এনসিসি) থিওরির সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বেশি নিয়ন্ত্রিত হবে।
এছাড়া আর্টিকেলে ৪৮-এ রাষ্ট্রপতিকে আরও ক্ষমতা দেয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে হবে। রাষ্ট্রীয় পদ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কেয়ারটেকার গর্ভমেন্ট ছাড়া কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেয়ারটেকার গর্ভমেন্ট ছাড়া নির্বাচন করার পরিবেশ এখনও হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে আসবেন, সে বিষয়ে পুরোপুরি একমত না বিএনপি।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, আস্তে আস্তে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতেও বিএনপি নীতিগতভাবে একমত। ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন নিয়ে যা প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত না করে আইন করলেই ভালো বলে মনে করে বিএনপি।
আর স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার বিষয়েও একমত হয়েছে বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, সংবিধান নিয়ে পুরোপুরি আলোচনা শেষ হয়নি। আগামী ২২ তারিখ আবারো ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।