প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর ৭৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৬৫৪ কোটি ডলার। এ হিসেবে প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০৪ কোটি ডলার যা প্রায় ১৬ শতাংশ। গত অর্থবছর রেমিট্যান্স বেড়েছিলো প্রায় ২৭ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পর থেকে অর্থপাচারে কড়াকড়ি করছে সরকার। এতে করে হুন্ডি প্রবণতা কমেছে। রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবাহের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বাড়ছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এতে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৫ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
এর আগে গত আগস্টে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এদিকে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় যা ২৮ কোটি ডলার বা ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। আর আগের মাস আগস্টের তুলনায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর রেকর্ড তিন হাজার ৩৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ডলারের দরে স্থিতিশীলতা এবং আমদানিতে ডলার পেতে সংকট না থাকায় মূল্যস্ফীতি কমছে। গত আগস্টের মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমেছে। গত ৩৭ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।