গলা খুসখুস-সর্দি-হালকা জ্বর হলেই দ্রুত সেরে উঠতে অনেকের ভরসা প্যারাসিটামল। তবে ঘন ঘন ওষুধ খাওয়া একেবারেই ভালো নয়। তা হলে উপায়?
রান্নাঘরেই আছে ঘরোয়া ওষুধ। ২-৪টি লবঙ্গ চিবোলেই সমস্ত অসুখ-বিসুখ দূরে পালাবে। লবঙ্গের স্বাস্থ্যগুণের শেষ নেই। উপকারী উপাদানও রয়েছে ভরপুর। ঘরোয়া টোটকায় সুস্থ থাকার অন্যতম অস্ত্র হলো লবঙ্গ। ঠাণ্ডা লাগলে তো বটেই, রোজ একটি করে লবঙ্গ খেলে কী কী সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
হাড় শক্তিশালী করতে
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। অত্যধিক পরিশ্রম হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই কারণে বার্ধক্যে অস্টিওপোরেসিসের মতো রোগ জাঁকিয়ে বসে শরীরে। লবঙ্গে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলো হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করে।
পেটের গোলমাল কমায়
বিভিন্ন কারণে পেপটিক আলসারের সমস্যা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, লবঙ্গের এসেনশিয়াল অয়েল গ্যাস্ট্রিক মিউকাস-এর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আসলে এই মিউকাস সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলী সুরক্ষিত রাখতে ঢাল হিসাবে কাজ করে। এমনকী পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।
দাঁতে ব্যথার উপশমে
লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় দাঁতে ব্যথায় দাওয়াই হিসাবে কাজ করে লবঙ্গ। প্রতিদিন যদি লবঙ্গ দেওয়া মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যায়, তা হলে মাড়ি সুস্থ থাকে। দাঁতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। মোট কথা, নিয়মিত যদি লবঙ্গ খাওয়া যায় তা হলে দাঁতের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
সাইনাসের ওষুধ
অনেকেরই সাইনাসের সমস্যা রয়েছে। ঠাণ্ডা লাগলে সে সমস্যা বেড়ে যায়। সেই সময় লবঙ্গের তেল মালিশ করলে অনেকটাই উপকার পাওয়া যাবে। তবে সাইনাসের সমস্যা যাদের রয়েছে, তারা যদি রোজ লবঙ্গ খেতে পারেন তা হলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন ফুরোবে।