শরীরচর্চার পরে শরীর আরও গরম হয়ে যায়। ফলে হৃদস্পন্দন বেশি থাকে, রক্তনালিও প্রসারিত থাকে।গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে মাথাঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। আবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরচর্চার পরে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে যা হয়
শরীরচর্চার পরে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে পেশিতে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়, স্নায়ু অবশ হয়ে হয়ে আসে। এতে ব্যথা-যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আরও বড় যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হলো রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন আরও বেড়ে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ঠান্ডা পানিতে গোসল করা উচিত নয়। তবে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার পরে এন্ডোরফিন হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এটা হলো হ্যাপি হরমোন, যা মন-মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কী ধরনের পানিতে গোসর করা ভালো
শরীরচর্চার পরে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা সবচেয়ে ভালো। শরীরচর্চার পরেও কুমুস গরম পানিতে গোসল করলে পেশির নমনীয়তা ফিরে আসে। ব্যায়াম করলে যে শরীর যে ব্যথা-বেদনা হয়, সেটাও কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে চলে যায়। শারীরিক ও মানসিক স্বস্তি মেলে। শরীরচর্চা না করলেও কুসুম গরম পানিতে গোসল করা উচিত।