৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
প্রকাশ : ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

প্রকাশ : ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

সংসদ নির্বাচনে শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেবে বিএনপি, এমনটাই জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তবে তফসিল ঘোষণার পরে আমরা আইনানুগভাবে পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে মনোনয়ন দেবো। তখন সেটা চূড়ান্ত এবং অফিসিয়াল হবে। আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছে। শুধু দুইজন নয়, অনেক আসনে আমাদের পাঁচজন, সাতজন এবং দশজন করে যোগ্য প্রার্থী আছে। সুতরাং আমাদের একটা নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টা দেখতে হচ্ছে। এখন আমরা সেই কাজটা জেলা এবং বিভাগভিত্তিক করছি। আমরা খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য সবুজ সংকেত দেবো।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর কাছে ম্যাসেজ দিয়েছি যে, তারা একই বক্তব্য দেবেন। ধানের শীর্ষের পক্ষে। যাকেই ধানের শীষের প্রতীক দেওয়া হবে, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। কর্মসূচির প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মসূচি না, গণসংযোগ হতে পারে। এখানে কর্মসূচির কোনো বিষয় নেই। নির্বাচনকেন্দ্রিক যাতে জনসংযোগটা বাড়ে এবং আমাদের বার্তাটা জনগণ ও ভোটারদের কাছে যায়- সেটা প্রচারের মাধ্যমে আমরা আরও জোরদার করবো। সেটার কাজ চলছে। হয়তো আমরা গতি বা পরিধি বাড়াবো।

সমমনাদের আসন ছাড়ের বিষয়ে অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের সঙ্গে জোট হবে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এখন চলমান। আমরা জোটের কাছে সেই আসনগুলো চাইবো বা শেয়ার করবো-যে আসনগুলো জিতিয়ে নিয়ে আসতে পারবো বলে আশা রাখি। জোটের সঙ্গে সেই বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। তারা তো তাদের দাবি উত্থাপন করবেই। এনসিপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সালাহউদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা তো সব দলের সঙ্গেই হয়। এনসিপির সঙ্গেও হয়। তবে আসনভিত্তিক কোন আলোচনা তাদের সঙ্গে আমাদের হয়নি।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের যে তৎপরতা আমরা দেখেছি, তাতে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো রকমের অনুশোচনা আসেনি। জাতির কাছে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো গণঅভ্যুত্থানকারীকে তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য পতিত স্বৈরাচারী নেত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র লিপ্ত আছেন।

নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের পরে উনার প্রেস সচিব এবং আইন উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগেরা বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা, সেটা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমের উপরে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মাধ্যমে। আর আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি ছিল আমাদের। আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি ও নির্বাচন করতে পারবে কি না, সেটা বিচারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

সরকারের উচিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের বক্তব্যের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, কিন্তু তার মেয়াদ বলেনি, সেই মেয়াদটা উনারাই ঠিক করবেন। অনেকেই নাকি চার-পাঁচ বছর, দশ বছর এবং ৫০ বছর থাকতে বলছেন। এই প্রসঙ্গটা উত্থাপন না করলেও পারতেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু মেয়াদ তো প্রধান উপদেষ্টা নিজেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তিনি ডিসেম্বরে নির্বাচন দেননি, ফেব্রুয়ারিতে দিয়েছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x