জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নির্দেশনা বা নির্দেশনায় জুলাই মাসের অভ্যুত্থান হয়নি। তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ বা সহযোগিতা মানেই নয় যে তারা সেই দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেছেন।
নাহিদ বলেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি টকশোতে দাবি করেছিলেন যে, ছাত্রশক্তির গঠনে শিবির জড়িত ছিল এবং তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করতো। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ছাত্রশক্তি মূলত ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রের কিছু অংশ, ঢাবির ছাত্র অধিকার সংস্থার কিছু পদত্যাগকৃত সদস্য এবং জাবির একটি স্টাডি সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত।
তিনি জানান, নতুন ছাত্র সংগঠন গঠনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র কাজ করে আসছে। আমরা ক্যাম্পাস রাজনীতিতে আট বছর সক্রিয় ছিলাম, তাই সব সংগঠন ও নেতাদের চিনি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এজন্য ঢাবির ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু যোগাযোগ থাকা মানেই নয় যে তারা আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল।
নাহিদ আরো বলেন, সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন না, যদিও ৫ আগস্ট থেকে তিনি এই পরিচয় ব্যবহার করছেন। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিককে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু পরে তারা প্রচারণা চালায় যে, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ঢাবির শিবিরই নেতৃত্ব দিয়েছিল, আর তারা শুধু সামনের সারিতে ছিল।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা অস্বীকার করছেন না কেউ, কিন্তু এটা ছিল শিবিরের একক উদ্যোগ নয় এবং তাদের নির্দেশনাতেও হয়নি। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর কে ক্ষমতার ভাগাভাগি করতে চায়, গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চায়, সে বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলব।