সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় নাগরিক জব্বার মণ্ডলের (৭৫) মরদেহ শেষবারের মত দেখলেন তার মেয়েসহ বাংলাদেশি স্বজনরা। দু’দেশর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় আজ বুধবার দুপুরে যশোরের শার্শা ধান্যখোলা বিওপির অধীন মেইন পিলার ২৫/৬-এস সংলগ্ন স্থানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে জব্বার মণ্ডলের মরদেহ সেখানে আনা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট রাখা হয় তার মেয়ে মিতু মণ্ডলসহ বাংলাদেশি স্বজনদের দেখার জন্য। পতাকা বৈঠকে বিজিবির যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ও ভারতের বিএসএফ ৬৭ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জব্বার মণ্ডল ধান্যখোলা সীমান্তের অদূরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বাগদা বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার রাতে নিজবাড়িতে মারা যান। প্রায় দেড় যুগ আগে তার মেয়ে মিতু মণ্ডলের (৩৮) বিয়ে হয় বেনাপোলের পোড়াবাড়ি গ্রামের বাবলু মণ্ডলের সঙ্গে।
বিজিবির যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে মিতুসহ বাংলাদেশে বসবাসরত স্বজনরা বিজিবির কাছে আবেদন করেন মরদেহ দেখার সুযোগের জন্য। অপরদিকে বাংলাদেশে অবস্থানরত জব্বার মণ্ডলের স্বজনদের লাশ দেখানোর জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করা হয় বিজিবির সঙ্গে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি স্বজনদেরকে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করে। পরে দাফনের জন্য জব্বার মণ্ডলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিজ বাড়িতে।
বাবার মরদেহ দেখার পর আবেগআপ্লুত হন মিতু মণ্ডল। তিনি বলেন, দুই দেশের বাসিন্দা হওয়ায় মন চাইলেই যখনতখন বাবার বাড়ি যেতে পারতাম না। তবে যোগাযোগ ছিল সার্বক্ষণিক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে বাবার মুখখানা শেষবার দেখার সুযোগ পাবেন ভাবতেই পারিনি।