জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণা এবং সংস্কার ও নির্বাচনের মুখোমুখি অবস্থানে সৃষ্ট সংকটের সমাধান চেয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হয়।
এ সময় দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৩৮টি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। ১১টি বিষয়ে দ্বিমত দলটির। এ সময় কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, পুঞ্জিভূত সংকট উত্তরণে সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দিয়েছে। যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাদিবাদের পতন ঘটেছে, সেই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
প্রায় ৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান ও সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয় নির্বাচন ছাড়া সংস্কার বা পরিবর্তন সম্ভব না। তবে অন্যান্য বিষয়ে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কার বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।
দলটির পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, বৈঠকে সংস্কার এবং নির্বাচন যেভাবে মুখোমুখি অবস্থানে এনে সংকট তৈরি হচ্ছে সেটার সমাধানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকা জোরদার করার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
সংস্কার এবং নির্বাচনকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করে সব রাজনৈতিক দল, জনগণ এবং অংশীদারদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির বিষয়ে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে ভূমিকা নেয়ার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনকে আহ্বান জানান তারা। একইসঙ্গে এ বিষয়ে নিজেদের দলের পক্ষ থেকে জোরদার ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, ইমরাদ জুলকারনাইন, দীপক রায় ও তরিকুল সুজন।