পাল্টেছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ধরন। সামান্য পানিতেও জন্মাচ্ছে এডিসের লার্ভা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপ বলছে, দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বরিশালে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে না আসায় মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খালের পানিতে ভাসছে নানা ধরনের প্লাস্টিক দ্রব্য। এতে জমছে বৃষ্টির পানি, বিস্তার ঘটছে এডিস মশার। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ধরন বদলেছে। সামান্য পানিতেও এখন ডিম পাড়ে, সেখানে জন্ম নেয় লার্ভা। এক সময় ডেঙ্গুকে মৌসুমি রোগ বলা হলেও এখন সারা বছরই এ রোগ শনাক্ত ও মৃত্যু হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আরেক জরিপে দেখা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার চেয়ে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। যার মধ্যে বরগুনা জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী। ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো বুঝতে না পেরে অবহেলা করলে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়। এতে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেরি হয়, বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি। তবে ঠিক সময় চিকিৎসা নিলে পূর্ণ নিরাময় সম্ভব বলে জানান চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক বলেন, সাধারণত যেসব ডেঙ্গু রোগী ভালো হয়ে যায় তারা দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। আগস্টের শেষে সেপ্টেম্বরের শুরুতে সাধারণত শরৎকালে ডেঙ্গু প্রকোপ পিকে চলে যায়। তখন কিন্তু ব্রিডিং বেশি হয় সে জন্য এখন থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর দাপট বেড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।