Site icon সারাবেলার খবর

সব বীজই পুষ্টিতে ভরা, কোন সমস্যায় কোনটি খাবেন জেনে নিন

ওজন কমাতে হলে খাদ্যতালিকায় যোগ করা দরকার তিসি বীজ বা চিয়াবীজ। এ ধারণা অনেকেরই। মেদ গলাতে এই ধরনের বীজ পরোক্ষে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয় পুষ্টিগুণের জন্যও আলাদা করে দোকান থেকে কিনে বীজ খাওয়ার চলও তৈরি হয়েছে। কিন্তু উপকারী বলেই কি যেকোনো বীজ খাওয়া যেতে পারে?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, এক এক ধরনের বীজের উপকারিতা এক এক রকম। তবে সমস্যাভেদে সঠিক জিনিসটি বেছে নেওয়াটাই জরুরি।

ঘন ঘন জ্বর, সর্দি: মৌসুম বদলের সময় ঠাণ্ডা-গরমে যেমন জ্বর, সর্দি হয়, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলেও এমনটা হতে পারে। শারীরিক দুর্বলতা, ঘন ঘন অসুখে পড়ার প্রবণতা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার অবশ্যই, তবে এমন হলে দৈনন্দিন খাবারে ১০-১৫টি কুমড়োর বীজ রেখে দেখতে পারেন। সাদা কুমড়ো বীজের ভেতরের অংশটি প্যাকেটজাত করে বিক্রি হয়। জিনিসটি খেতেও ভালো, বাদামের মতো। জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর বীজটি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

বলিরেখা পড়ছে? ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর সূর্যমুখীর বীজ, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়তে এবং ত্বকের দীপ্তি ফেরাতে সাহায্য করে। সূর্যমুখীর বীজে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ‘পলি আনস্যাচুরেটেড’ ও ‘মনো আনস্যাচুরেটেড’ ফ্যাটের অন্যতম উৎস এই বীজ। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম? হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়া নারীদের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ বিষয়। তা থেকে নানা সমস্যা হতে পারে। আয়রন, জিঙ্ক, কপার এবং একাধিক ভিটামিনসমৃদ্ধ কালো তিল ডায়েটে রাখলে আয়রনের অভাব পূরণ হতে পারে, বাড়তে পারে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও।

তবে পুষ্টিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন—উপকারী হলেও বীজ অতিরিক্ত খাওয়া অনুচিত। কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে তা খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।

Exit mobile version