বিনোদন ডেস্ক
অমিতাভ বচ্চন সব সময়ই সোশাল মিডিয়ায় দারুণ সক্রিয় সেলিব্রিটিদের একজন। তিনি সোশালে তাঁর জীবন ও চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করেন। অভিনেতা প্রায়শই সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডের এক্সে (সাবেক টুইটার) তাঁর চিন্তাভাবনা ও মতামত শেয়ার করেন। তার একটি মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইটও রয়েছে, যেখানে তিনি তার কাজের পাশাপাশি তার জীবনের অনেক বিবরণ শেয়ার করেন যা তিনি তার ভক্তদের জানাতে চান। তিনি ভালোবাসার সাথে তাদের ‘বর্ধিত পরিবার’ বলে ডাকেন।
গত সোমবার অমিতাভ বচ্চন তাঁর ৫৪০৫তম টুইটটি করেন এভাবে- গ্যাজেট ভাঙে.. দীর্ঘায়ু স্থায়ী হয়!!!
তবে, তার রাতের বেলায় তার এমন ভাবনা একজনের কাছে ভালো লাগেনি। তিনি অভিনেতার বয়স নিয়ে সমালোচনা করার চেষ্টা করেন। ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন, সময়মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন, নইলে দীর্ঘ জীবনও স্থায়ী হবে না।
৮২ বছর বয়সী অভিনেতা বুদ্ধিমত্তার সাথে উত্তর দেন। তিনি লেখেন, আমার মৃত্যুর কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ; ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন!
১৯৮৮ সালে অমিতাভ বচ্চনের ছবি ‘শাহেনশাহ’র কথা উল্লেখ করে এক ভক্ত টুইট করেন, তুমি এখনও জেগে আছ কেন, শাহেনশাহ? ঘুমিয়ে পড়ো, তুমি বুড়ো হয়ে গেছ।
উত্তরে অভিনেতা বলেন, একদিন তুমিও বুড়ো হবে.. ঈশ্বরের ইচ্ছা। তবে, পোস্ট করার কয়েক মিনিট পরেই তিনি টুইটটি মুছে ফেলেন, টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়।
গত মাসে, অমিতাভ বচ্চন তার সোশাল মিডিয়া পোস্টের ক্রমাগত সমালোচনার জন্য হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর ব্লগে লেখেন, এবং তারা আমাকে আমার স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে বলে.. বিন্দু না লাগাতে.. বাঁকা রেখা না লাগাতে.. এটা পরতে, ওটা পরতে.. এখানে না সেখানে যেতে.. এখানে কথা না বলতে, ওখানে কথা না বলতে.. যখন তুমি কথা বলো তখন তারা..’বলুন কেন কথা বলেন’.. যখন আপনি কথা বলেন না তখন তারা বলে ‘কেন আপনি কথা বলেন না’।
তিনি আরো বলেন, আমি সমুদ্র ও মহাসাগর থেকে জীবনযাপন শিখেছি; শান্তভাবে প্রবাহিত হতে এবং নিজস্ব আবেগও নিজস্ব আগ্রহ আর উদ্দীপনায় বেঁচে থাকতে।
অমিতাভ বচ্চনকে শেষবার রজনীকান্তের সাথে ‘ভেট্টাইয়ান’-এ দেখা গিয়েছিল। অভিনেতাকে পরবর্তীতে প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন এবং কমল হাসানের সাথে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’-এর সিক্যুয়েলে দেখা যাবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া