৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
প্রকাশ : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:২২ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সিআইডির মামলার

প্রকাশ : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:২২ এএম

দুবাইয়ে ১২০০ কোটি টাকা অর্থ পাচার অভিযোগে সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি। জানা যায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (৫৬) ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। শিল্প প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর তিনবারের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

অনুসন্ধানকালীন প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে ২২৬টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। যার মূল্য ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ১৬৮ দিরহাম। এছাড়াও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের নামে ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯ দিরহাম মূল্যে দুবেইয়ে দুইটি সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়াও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দুবাই ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংকের ২টি হিসাবসহ মোট ৪টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত ব্যাংক হিসাবগুলোতে বিভিন্ন অংকের দিরহাম ও মার্কিন ডলারের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। যা তৎকালীন সময়ের মুদ্রার বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩১১ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৭৯৫ টাকা।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামান এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অজ্ঞাত ব্যক্তিদের পারস্পরিক যোগসাজসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিল্ডিং এন্ড কন্সট্রাকশান ম্যাটারিয়াল প্রোডাক্ট এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসার জন্য ২টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, বিনিয়োগ এবং পরিচালনার তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় জানা যায়, বিদেশে কোম্পানী নিবন্ধন, বিনিয়োগ ও সম্পত্তি অর্জনের নিমিত্তে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর (জাভেদ) অনুকূলে সরকার কর্তৃক কোন অনুমতি প্রদান করা হয়নি। এভাবে তিনি বিদেশে সম্পত্তি ক্রয়, কোম্পানি নিবন্ধন এবং ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা করার মাধ্যমে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাচার করেছে; যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এদিকে অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপরাপর সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x