সাকিব আল হাসান কি আর কখনো বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন? সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে ঘুরেফিরে আসা অন্যতম আলোচিত এই প্রশ্ন এবার ছুঁয়ে গেছে দেশের রাজনীতিকদেরও। এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সাকিবের দলে ফেরা পুরোপুরি নির্ভর করবে তার ফর্ম এবং সে সময় ক্রিকেটে সক্রিয় আছে কি না, তার ওপর। আমি খেলাধুলাকে কখনো রাজনীতির মধ্যে আনতে চাইনি, এখনও বিশ্বাস করি না—যে যোগ্য, সেই আসবে। বিএনপির মহাসচিবের এই বক্তব্যে স্পষ্ট, দল ক্ষমতায় এলেও খেলোয়াড় নির্বাচনে রাজনীতির কোনো হস্তক্ষেপ চান না তিনি। তার মতে, খেলোয়াড় বাছাইয়ে মূল মানদণ্ড হবে পারফরম্যান্স ও ক্রিকেটে সক্রিয়তা।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশের বাইরে রয়েছেন সাকিব। এরপর তিনি পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে খেললেও দেশে ফিরতে পারেননি। গত অক্টোবরে দেশে ফেরার চেষ্টা করলেও আন্দোলনের মুখে মাঝপথ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো এবং রাজনৈতিক বিতর্ক তার দলে ফেরা আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকেও সাকিবের ফেরার ইঙ্গিত এসেছে। সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি সাকিবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন। তবে দেশের ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা আপাতত অনিশ্চিতই রয়ে গেছে। এখন দেখার বিষয়, আইনি এবং রাজনৈতিক বাধা পেরিয়ে ক্রিকেটীয় যোগ্যতায় সাকিব কতটা এগিয়ে যেতে পারেন।