সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন তথ্য প্রচারের অন্যতম মাধ্যম, তেমনি ভুল খবর ও গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা কম নয়। সম্প্রতি এই মাধ্যমেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। গুঞ্জন ওঠে, দম্পতির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে গেছে, অর্থাৎ তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।
খবরটি দ্রুতই ভাইরাল হয়, যা ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহল ও উদ্বেগের জন্ম দেয়। তবে দেশীয় একটি গণমাধ্যম ‘বিশ্বস্ত পারিবারিক সূত্রে’ নিশ্চিত করেছে, এ গুঞ্জনের কোনো ভিত্তি নেই। সাকিব ও শিশিরের মধ্যে বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না। বর্তমানে সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে আছেন এবং স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
তবে গুজবের সূত্রপাত একদম শূন্য থেকে হয়নি। সামাজিক মাধ্যমে শিশিরের অ্যাকাউন্ট ঘেটে দেখা যায়, সাকিবের সঙ্গে পোস্ট করা বহু পুরোনো ছবিই তিনি মুছে ফেলেছেন। যা থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা। যদিও এর আগেও, ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট এক ফেসবুক পোস্টে শিশির লিখেছিলেন, মানুষ যেমন চায় সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকুক, বাস্তবে তেমন কিছু ঘটছে না। আমরা একসঙ্গেই আছি।
গুজব ছড়ানোর পেছনে আরও একধরনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকারের পতনের পর, ক্ষমতাসীন দলে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাকিব তার আসন হারান। এরপর থেকেই তিনি দেশে ফেরেননি এবং ক্রিকেট থেকেও অনেকটা দূরে রয়েছেন।
রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার পর তার ক্যারিয়ারেও নেমে আসে অনিশ্চয়তা। পাকিস্তান ও ভারত সফরের পর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা থাকলেও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সেটিও আলোর মুখ দেখেনি।
এরই মাঝে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দসহ একাধিক বিতর্কিত ঘটনায়ও জড়িয়ে পড়েন এই তারকা ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য থেকে বিরত রয়েছেন।