৩০ জুন ২০২৫ সোমবার
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ৩:৪১ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সার্কের বিকল্প জোট গড়তে কাজ করছে পাকিস্তান-চীন, রয়েছে বাংলাদেশও

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫, ৩:৪১ পিএম
সার্কের বিকল্প জোট গড়তে কাজ করছে পাকিস্তান-চীন, রয়েছে বাংলাদেশও

নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ও চীন। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বাংলাদেশও। ধারণা করা হচ্ছে সম্ভাব্য এই জোট দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর।

নতুন এই জোট গঠনের লক্ষ্যে গত ১৯ জুন চীনের কুনমিং শহরে পাকিস্তান-চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিষয়টি ভারতের নজরে আসলে এনিয়ে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়।

কূটনৈতিক বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে এবিষয়ে আলোচনা এখন অনেক দূর এগিয়েছে। দুই দেশের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়িয়ে আঞ্চলিক সংহতির জন্য নতুন একটি জোট সময়ের দাবি।

একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিউবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতকে নতুন প্রস্তাবিত এই জোটে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তবে দিল্লি এতে ইতিবাচক সাড়া দেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে, কারণ ভারতের আঞ্চলিক নীতি ও স্বার্থ অন্য দেশের চেয়ে আলাদা।

তবে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশ নতুন এই গোষ্ঠীর অংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সার্ককে একসময় দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরী সম্পর্কের কারণে সার্কের কার্যকারিতা স্থবির হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তান-চীন ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য গঠিত নতুন এই জোট এ অঞ্চলে নতুন আশার সঞ্চার করতে পারে।

সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন হয়েছিল ১০ বছর আগে। ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ভারত সেটা বয়কট করে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকারও সেসময় ভারতপন্থি হওয়ায় ঢাকা সেই সময় সেই সম্মেলনে অংশ নেয়নি।

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভারত সাম্প্রতিক সময়ে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) দিকেও খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বশেষ দুটি এসসিও সম্মেলনে অংশ নেননি। চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ এসসিওতে রয়েছে।

এছাড়া অনেকেই এই জোটকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন। তবে ভারতের নীতিগত পার্থক্য ও পশ্চিমঘেঁষা অবস্থান এসসিওর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই অনেকের মত।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x