২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজধানীতে অটোমেটিক ট্রাফিক সিস্টেম চালুর জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, অসম্পূর্ণ ট্রায়াল ও নানা অনিয়মের কারণে কোনোটিই আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার রাজধানীর যানজট নিরসন ও কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রথম ধাপে হাইকোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে এই অটোমেটিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে মোট ২২টি ইন্টারসেকশনে এ সিস্টেম বিস্তৃত করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক জানান, পরীক্ষামূলকভাবে সিস্টেম চালুর মূল লক্ষ্য হলো নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চালকদেরকে নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত করে তোলা। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করেছে এবং শহরের বড় বড় সড়ককে এই ব্যবস্থার আওতায় আনার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, সিস্টেম চালু হলে সিগনাল অমান্যকারীদের ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। আপাতত ট্রাফিক টিম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে সচেতনতা বৃদ্ধি, সক্ষমতা যাচাই ও ত্রুটি শনাক্তের জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে।