সিরিজ নিশ্চিতের মিশনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশ। একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। ফিরলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম। তিন পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি আফগানরা। শারজায় তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়াবে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
মাত্র ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। আগের দিন জয় পেলেও মিশ্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ১০৯ রান তুলেছিল লাল সবুজরা। তবে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ফিফটির ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর বিপর্যয়ে পড়ে দল। রশিদ খানের ঘূর্ণির তোপে পড়ে ৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে দল। তবে রিশাদ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের কল্যাণে শঙ্কা কাটিয়ে জয় পায় টাইগাররা।
সিরিজ নিশ্চিতের মিশনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক জাকের আলী অনিক। টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, আমরা প্রথমে বল করতে চাই। গতকাল আমরা (বল হাতে) ভালো শুরু পেয়েছিলাম এবং কৌশলও ভালো ছিল। আমরা কিছুটা ভালো বিশ্রাম নিয়েছি। এই ম্যাচে ভালো খেলার অপেক্ষায় আছি। এ ম্যাচে দলে এসেছে দুই পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন সাইফউদ্দিন ও শরিফুল।
তবে পিচ সম্পর্কে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা যে তথ্য দিয়েছেন তাতে টস জিতে জাকেরের ফিল্ডিং নেয়াটা বোকামি মনে হতে পারে। তিনি মনে করছেন, এ পিচে প্রথমে ব্যাট করা দলই বেশি সুবিধা পাবে। পরে ফিল্ডিং করা দলের বোলাররা, বিশেষ করা স্পিনাররা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে টস হারলেও ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে খুশিই আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তিনি বলেন, আমরাও প্রথমে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। গতকাল আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করিনি। তবে গতকালও শুরুতে ব্যাট করতে পেরে আমরা খুশি। এখানে সময়ের দরকার। সময়ের সাথে এখানে ব্যাট করা সহজ। শুরুতে যাতে বেশি উইকেট না হারায় সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিদেশীয় সিরিজ ও এশিয়া কাপে আমরা ভালো করতে পারিনি। আমাদের মানসিকভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা ভালো করতে পারি। আফগানিস্তান দলে আনা হয়েছে তিন পরিবর্তন। ফিরেছেন মুজিব উর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকউল্লাহ আতল, দারউইশ রাসুলি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান (অধিনায়ক), মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ, ফরিদ আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আহমাদজাই।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, শামীম হোসেন, জাকের আলী (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।