৩১ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ৯:৫১ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ৯:৫১ পিএম

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর হত্যা মামলায় ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন জানান, মামলায় মোট ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ মে চাউলধনী হাওর এলাকায় জমি দখল নিয়ে বিরোধের জেরে চৈতনগর গ্রামের ইব্রাহিম আলী সিজিল গংদের নিজ মালিকানাধীন জমিতে মাটি কাটতে থাকে সাইফুল ও তার বাহিনী। এ সময় বাধা দিতে গেলে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহজালাল হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর গুরুতর আহত হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এছাড়া সুমেলের বাবা ও চাচাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার ৩ দিন পর ৩ মে নিহত সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বিশ্বনাথ থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেট রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি মফিজ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। তদন্তে গাফিলতি ও আলামত নষ্টের অভিযোগে বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ওসি শামিম মুসা, এসআই নূর ও এসআই ফজলুল হককে ক্লোজড করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

রায়ের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বলেন, মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অনেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানার সাজা পেয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যে হাজতবাসের মাধ্যমে সাজাভোগ সম্পন্ন করেছেন, ফলে তারা মুক্তি পাবেন।

মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৩০ জুলাই রায় ঘোষণা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাইফুল প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। এজাহারভুক্ত অপর এক আসামি মামুনুর রশীদ এখনও পলাতক রয়েছেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x