লাইফস্টাইল ডেস্ক
বিয়ের আগে চেনাপরিচিতি থাক কিংবা একেবারেই সম্বন্ধ করে বিয়ে—দাম্পত্যে পা রাখার পর অনেক কিছুই বদলে যেতে শুরু করে। বিভিন্ন কারণে সম্পর্কে নানা অশান্তি দেখা দিতে পারে। ঝগড়া, মতের মিল না হওয়া, পারস্পরিক সম্মানের অভাব থেকেই সম্পর্ক বিষাক্ত হতে থাকে। সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি খুঁজে পান না অনেকেই। সম্পর্ক ভালো রাখতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন।
যৌথ দায়িত্ব পালন
সংসার এবং দাম্পত্য যখন দুজনের, তখন কাজের ভাগাভাগিটা নিজেদের মধ্যেই করে নিতে হবে। শুধু কাজ নয়, স্বামী-স্ত্রী দুজনই রোজগেরে হলে সংসার খরচও ভাগাভাগি করে নিতে হবে। তা হলে সব কিছুতে স্বচ্ছতা থাকবে। সম্পর্কেও কোনো জটিলতা থাকবে না। অর্থকরী দিক থেকেও তিক্ততা থাকবে না।
সম্পর্কের যত্ন নেওয়া জরুরি
একে-অন্যের চাওয়া-পাওয়া, চাহিদা, প্রয়োজনেরও যত্ন নেওয়াও জরুরি। পারস্পরিক সময় দেওয়াটাও কিন্তু জরুরি। সাংসারিক জীবন, কাজের চাপ সামলে নিজেদের জন্য সময় একেবারেই থাকে না। তাই মাঝেমাঝেই বেরিয়ে পড়ুন। একসঙ্গে সময় কাটান। গল্প করুন, দেখবেন সম্পর্ক অনেক ফুরফুরে হবে।
দরকারে পরামর্শদাতা
স্বামী-স্ত্রী নিজেরা সমস্যা মেটাতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে, দাম্পত্যের যেকোনো পর্বে, উপযুক্ত পরামর্শদাতার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এই পরামর্শদাতা শ্বশুর-শাশুড়ি, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় বা ম্যারিটাল কাউন্সিলরও হতে পারেন। বস্তুত অনেক ক্ষেত্রেই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের হস্তক্ষেপে জটিল পরিস্থিতির সমাধান হয়। কিন্তু উল্টোটাও ঘটে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত, একান্ত ব্যক্তিগত পরিসরে ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আদৌ তাদের মতামত কতটা প্রয়োজন, সে বিষয়ে নিজস্ব বিবেচনাবোধটি খুবই জরুরি। পাশাপাশি, নিজস্ব গণ্ডি সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার আত্মীয়দেরও।
সূত্র: উইশলিঙ্ক