সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ ইরানের নতুন সামরিক বাহিনী প্রধান আবদুর রহিম মুসাভির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রাষ্ট্র পরিচালিত সৌদি প্রেস এজেন্সি ও ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সি রোববার (২৯ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে। এই ফোনালাপটি মুসাভির উদ্যোগে শুরু হয়। তারা দুজন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছেন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে ইরান ও সৌদি আরব একে অন্যকে শত্রুজ্ঞান করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-মধ্যস্থতায় সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে গেছে দুই দেশ। বর্তমানে তাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল। ইসরায়েল ইরানে হামলা করলে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সৌদি। গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রথম দিকেই ইরানের সামরিক বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি নিহত হন। এ হত্যার পর মুসাভিকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।
এদিকে যুদ্ধবিরতির সপ্তাহ পরেও দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ্যে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবে কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের কাছে একটি বিলাসবহুল আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এই তথ্য আগে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রকাশ করা হয়নি। কারণ কর্তৃপক্ষ প্রভাবের স্থান সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত প্রতিবেদনগুলোকে গোপন করে রেখেছিল। যুক্তি দিয়েছিল, ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আরও ভালোভাবে ক্যালিব্রেট করার জন্য সে তথ্য ব্যবহার করতে পারে। এখন জানা যাচ্ছে, আইডিএফ সদর দপ্তরের কাপলান স্ট্রিটের প্রবেশপথের কাছে অবস্থিত ৩২ তলা আবাসিক টাওয়ারটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ফলে আগুন ধরে যায় এবং এর বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হয়।