চলছে বর্ষা। বৃষ্টিভেজা দিনেও উৎসুক মানুষ গাজীপুরে লবণদহ নদের জলরাশি দেখতে ভিড় করছেন।
বিশাল এলাকাজুড়ে লবণদহ নদের জলরাশি সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। মুগ্ধ হয়ে আশেপাশের এলাকা থেকে প্রকৃতিপ্রেমী শত শত নারী, শিশু ও পুরুষ আসছেন লবণদহে। বিশেষ করে বিকেলের লবণদহের ধারে তারা এসে আনন্দ উপভোগ করে। ওই জলরাশির ওপর পাখিদের বিচরণ যেন প্রকৃতির এক দান।
সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর পেরিয়েই একটু উত্তরে পিচঢালাপথ পেরোলেই দেখা মিলবে লবণদহ নদের। নদের ওপর দীর্ঘ সেতু ওপারের পিরুজালী জনপদের সাথে এপারের মানুষের সেতুবন্ধন রচনা করেছে। চারিদিকে তাকালে দেখা যায় বিস্তীর্ণ জলরাশি। শুকনো মৌসুমে ধানে ভরা ও সরু নদ বর্ষার ভর মৌসুমে বিশালাকার জলরাশিতে পরিণত হয়। যা চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো। এই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে মহানগর, কালিয়াকৈর ও সদর উপজেলার নানা এলাকা থেকে দলবেঁধে ভ্রমণপিপাসুরা আসেন। জলরাশি পেরিয়ে দেখা যায় এপার ওপাড়ের দাঁড়িয়ে থাকা বটবৃক্ষ, হিজল ও উঁচু তালগাছ।
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে মনমাতানো এই দৃশ্য দেখতে রাজধানী থেকে আসেন অনেকেই, জানালেন পার্শ্ববর্তী পাইনশাইল গ্রামের যুবক ওমর ফারুক, সমীর ও সুবল চন্দ্র। লবণদহ নদের তীরে আগত পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়ে প্রতিটি বিকেল হয়ে ওঠে মুখরিত।
লবণদহ, তুরাগ ও সালদো নদী ভাওয়াল মির্জাপুর পাইনশাইল এলাকায় এক মোহনায় মিলিয়ে গেছে। তুরাগ নদীপথে দূর এলাকা থেকে আসা-যাওয়া করছে পিকনিক পার্টি। গানের বাজনা আর নৃত্যের তালে তালে তারা ছুটছে তো ছুটছেই। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে পিকনিক পার্টির ওই যাত্রায় হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন হাসিমুখে। কখনো যাত্রা পথে পিকনিক পার্টি বিরতি দেওয়া সালদোর বুক পেরিয়ে লবণদহের শান্ত জলরাশিতে।
লবণদহের এই যৌবনা ফিকে হয়ে যায় বর্ষা বিদায় হলে।
পিরুজালী ডগরি এলাকার হুমায়ূন কবির, জাকির, সাজেদা বেগম জানালেন, এই মৌসুমে যে কেউ আসতে পারেন নয়নাভিরাম এই জলরাশি দেখতে।