ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে স্বৈরাচার মুক্ত হলেও এখনো দেশের গণতন্ত্র ফেরেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ঢাকার আশুলিয়ার শ্রীনগরে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষকে গুলিকে করে হত্যা করেছে হাসিনা। গোটা জাতি তার বিচার চায়। তবে হাসিনা পালিয়ে গেছে ভারতে। ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে সে বিভিন্নভাবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
দেশকে রক্ষার জন্য প্রত্যেককে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর হাসিনার ফ্যসিস্ট সরকার বাংলাদেশের মানুষের ওপর দিয়ে স্ট্রিম রোলার চালিয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন, ভোটের অধিকারের জন্য যে আন্দোলন, তা আমাদের করার কথা ছিল না। এটাতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল একাত্তরে যুদ্ধের পরই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমদের, সরকারি সংস্থাগুলো ব্যবহার করে হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে আমরা সেই ভয়াবহ দানবের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু এখনো সেই গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারিনি, যে গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।’
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক বাদানুবাদ হচ্ছে, হবেই। গণতান্ত্রিক দেশে এটা স্বাভাকি। তবে এমন কিছুই করবে না, যাতে আবারও গণতন্ত্র ব্যাহত হয়। গণতন্ত্রকে মুক্তি দিতে সব রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমরা অতিদ্রুত আমাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো মিটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাই। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করি।