২০ জুন ২০২৫ শুক্রবার
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১:৪৯ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

হদিস মিলল বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনার খনির

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১:৪৯ এএম

👁 4 views

হদিস মিলল বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সোনার খনির! হ্যাঁ, দক্ষিণ আমেরিকার সুউচ্চ আন্দিজ পর্বতমালার গভীরে এমনই এক স্বর্ণভান্ডার লুকিয়ে রয়েছে, যা গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সূত্র বলছে, চিলি এবং আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ফিলো দেল সলে সম্প্রতি প্রচুর পরিমাণে তামা, সোনা ও রুপোর হদিস মিলেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখানে আনুমানিক প্রায় 1.3 কোটি টন তামা, 32 মিলিয়ন আউন্স সোনা এবং 659 মিলিয়ন আউন্স রুপো লুকিয়ে রয়েছে।

আসলে কী রয়েছে এই ফিলো দেল সলে?
নামজাদা সংস্থা লুন্ডিন মাইনিং-এর CEO জ্যাক লুন্ডিন সম্প্রতি এই আবিষ্কারকে বিগত 30 বছরের মধ্যে সেরার সেরা খনিজ আবিষ্কার বলেই আখ্যা দিয়েছেন। তার কথায়, এই আবিষ্কার গোটা খনিজ শিল্পের সংজ্ঞাকেই বদলে দিতে পারে।

হ্যাঁ, তার নিজের সংস্থা ইতিমধ্যেই বড় পরিসরে কাজ শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, এই খনিজ ভান্ডার অবস্থিত প্রায় 16,400 ফুট উচ্চতায়। আর অক্সিজেনের অভাব এবং প্রতিকূল আবহাওয়া, খনি উত্তোলনের কাজকে আরও কঠিন করে তুলছে।

বিশ্বের সবথেকে বেশি সোনা কোথায়?
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত জানা গেল, এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে মোট 2.44 লক্ষ মেট্রিক টন সোনার হদিস মিলেছে। এর মধ্যে 1.27 লক্ষ মেট্রিক টন ইতিমধ্যেই উত্তোলন করা হয়েছে। আর বাকি 57 হাজার মেট্রিক টন এখনো মাটির নিচেই। তবে চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় সবথেকে বেশি সোনা মজুদ রয়েছে বলেই বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে।

সোনার রাজত্ব ড্রাগনের দেশে
বলে রাখি, গত এক দশক ধরে চীন বিশ্বের সবথেকে বড় সোনা উৎপাদনকারী এবং মজুদকারী দেশ হিসেবেই নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত ভাবে ধরে রেখেছে। তারা বছরে প্রায় 368.3 টন সোনা উত্তোলন করে বলে জানা যাচ্ছে, যা প্রতিদিন প্রায় একটি করে ট্রাক ভর্তি সোনার সমান। আর এই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় 900 কেজি সোনা উত্তোলন করছে চীন।

ভারত, পাকিস্তানের কী অবস্থা?
এদিকে ভারতের অবস্থান রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের মধ্যেই। হ্যাঁ, ভারতে সোনার ভাণ্ডার যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে পাকিস্তান এই তালিকার 20-র মধ্যেও নেই। তবে 2025 সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে আটক এলাকায় প্রায় 28 লক্ষ তোলা সোনা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবী করেছে বেশ কিছু সংস্থা, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় 600 থেকে 700 বিলিয়ন পাকিস্তানের রুপি।

তবে জল এবং শক্তি ব্যবহারের সচেতনতা বাড়াতে আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে। খনি চালানোর জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে খবর। আবার কিছু খনিতে ইতিমধ্যেই ডিজেলের পরিবর্তে সৌরশক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে যদি এই কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে আন্দিজ পর্বতমালা হতে পারে বিশ্বের সবথেকে বড় সোনার খনি।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x