Site icon সারাবেলার খবর

হানিমুন মার্ডার: সোনমকে ‘নিষ্ঠুর বোকা’ বললেন কঙ্গনা রানাউত

মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশীর মধুচন্দ্রিমার সময় মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সাংসদ এবং অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি সোশাল মিডিয়ায় অভিযুক্ত স্ত্রীর সমালোচনা করেন।

কঙ্গনা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে এক পোস্ট লেখেনম এটা কতটা অযৌক্তিক!! একজন নারী তার নিজের বাবা-মাকে ভয় পেয়ে বিয়েতে ‘না’ বলতে পারেন না কিন্তু ভাড়াটে খুনিদের সাথে ঠাণ্ডা মাথায় বসে খুনের পরিকল্পনা করতে পারেন। সকাল থেকেই এই কথাটা আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে!!! উফফফ এখন মাথাব্যথা করছে!! সে ডিভোর্সও নিতে পারছে না বা তার প্রেমিকের সাথে পালিয়েও যেতে পারছে না।

তিনি আরও লেখেন, এটা কতটা নিষ্ঠুর, জঘন্য এবং সর্বোপরি অযৌক্তিক এক বোকামি। বোকা মানুষদের কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। তারা যেকোনো সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি…আমরা প্রায়শই তাদের নিয়ে হাসি এবং ভাবি যে তারা নিরীহ, কিন্তু এটা সত্য নয়। বুদ্ধিমান মানুষরা নিজেদের ভালোর জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু মনে রাখবেন একজন বোকা মানুষ জানে না যে সে কী করছে!!! আপনার চারপাশের বোকামি সম্পর্কে খুব সচেতন থাকুন।

উল্লেখ্য, রাজা রঘুবংশী এবং তার স্ত্রী সোনম ২৩ মে মেঘালয়ে তাদের মধুচন্দ্রিমায় নিখোঁজ হন। ২ জুন ওয়েইসাওডং জলপ্রপাতের কাছে একটি গিরিখাতে রাজার মৃতদেহ আবিষ্কৃত হলে তদন্তে শুরু হয়। যদিও সোনম তখন নিখোঁজ ছিলেন।

মেঘালয় পুলিশের সন্দেহ, সোনম তার স্বামীকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করেছিলেন। মধ্যপ্রদেশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২১ বছর বয়সী রাজ কুশওয়াহা, যার সাথে সোনমের সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ওই দম্পতির বিয়ের পরপরই হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরে সোনম আত্মসমর্পণ করেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুশওয়াহাকে ইন্দোরে গ্রেপ্তার করা হয়। মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো চারজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান, রাজ সিং কুশওয়াহা এবং আনন্দ।

রাজার পরিবার জানায়, সোনম মেঘালয়ের মধুচন্দ্রিমার আয়োজন করেছিল। এ জন্য তিনি ৯ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। রাজার পরিবার প্রথমে আপত্তি করলেও পরে রাজি হয়। অন্যদিকে, সোনম দাবি করেন যে তাকে অপহরণ করে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Exit mobile version