১৭ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার
প্রকাশ : ৮ জুন ২০২৫, ১২:০১ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

হাসিনার ফেরা ও নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ৮ জুন ২০২৫, ১২:০১ এএম

👁 22 views

জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। ঈদের আগে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, “আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম ভাগে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে।” তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।

তবে এই ঘোষণা মেনে নেয়নি বিএনপি। দলটির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন জানুয়ারিতেই করানো যেত। এখন নির্বাচন পেছানোয় জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এবং শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরবেন, এসব বিষয় নিয়ে দলের কাছে স্পষ্ট পরিকল্পনা আছে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন ঘোষণার মধ্যেই নির্বাচন না করার ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। দেশের ৪৫ শতাংশের বেশি মানুষ আওয়ামী লীগের সমর্থক। এত বড় জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়।

ওবায়দুল কাদের জানান, আমাদের সংগঠনকে এখন আরও শক্তিশালী করাই সবচেয়ে জরুরি কাজ। আজকে আমাদের অস্তিত্ব, আদর্শ ও রাজনৈতিক ভিত্তি হুমকির মুখে। তাই সংগঠনকে গোছানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ একটি গণভিত্তিক দল, আমাদের শক্তির মূল উৎস জনগণ।

জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক ঘোষণার সঙ্গে ড. ইউনূসের নির্বাচনের সময়সূচি মিলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের ক্ষমতার প্রধান উৎস হচ্ছে মৌলবাদী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। তিনি তাদের ওপর ভরসা করছেন। শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তিনি প্রতিদিন দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। আমি বিকেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলব। আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ আছেন।”

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আগেও বলেছেন, দেশের জন্য তিনি ফিরবেন এবং যারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের শাস্তি হবে। তবে তিনি কবে ফিরবেন, তা এখন বলা যাচ্ছে না। সবকিছু নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনগণের মনোভাব এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশের ওপর।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x