সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে হোয়াইট হাউজে দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রযুক্তি সম্রাট ইলন মাস্ক। তবে সেই দায়িত্বের আড়ালেই নাকি চলছিল ভয়ংকর এক মাদকাসক্তির গল্প। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় হোয়াইট হাউজে কাজ করার পাশাপাশি নিয়মিত কিটামিন, এক্সট্যাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুম সেবন করতেন মাস্ক।
টাইমস জানায়, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার পর এবং সরকারি দপ্তরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মাস্কের মাদক সেবনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করেছে, এসব মাদকের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে মাস্কের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে মূত্রথলির সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
যদিও মাস্ক একবার দাবি করেছিলেন, তিনি মাত্র দুই সপ্তাহে একবার সীমিত পরিমাণে কিটামিন গ্রহণ করেন, টাইমসের তথ্যমতে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। এমনকি স্পেসএক্সে কঠোর মাদকমুক্ত নীতিমালা থাকার পরেও মাস্ক আগেভাগেই ড্রাগ টেস্টের সতর্কতা পেয়ে যেতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হোয়াইট হাউজে দায়িত্ব পালনকালে সাধারণ কর্মীদের মতো কঠোর নিয়মের আওতায় না থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় টাইমসের প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মাস্ক রেগে গিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এদিকে এই প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ইলন মাস্কের কিছুতেই আমি উদ্বিগ্ন নই। তিনি দুর্দান্ত কাজ করেছেন। অন্যদিকে আলোচিত পডকাস্টার স্যাম হারিস এই অভিযোগ সামনে আসার পর মাস্কের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।