প্রথমে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে বিধ্বস্ত, এবার বাংলার বাঘিনীরা হারাল ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে। আর তাতে প্রথমবার এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার পথে এক পা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। বুধবার (২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জোড়া গোল করে লাল সবুজদের জয়ের নায়ক ঋতুপর্ণা চাকমা।
এই জয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে বড় জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠার পাশাপাশি গোল ব্যবধানেও অনেকটা এগিয়ে গেল লাল-সবুজের দল। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ড্র করলেও এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। তবে হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে মায়ানমার-বাহরাইন ম্যাচের দিকে চোখ রাখতে হবে ঋতুপর্ণাদের।
বাংলাদেশ ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে। গোল করেছে ৯টি। নিজেদের জালও অক্ষত রেখেছে। আগামী শনিবার বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। যাদের এই মিয়ানমার ৮-০ গোলে হারিয়েছিল। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ যেকোন গোল ব্যবধানে জিতলে, এমনকি ড্র করলেও প্রথমবার এশিয়া কাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়বে।
মিয়ানমারকে হারানো অবশ্য বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য সহজ ছিল না। র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান ৫৫তে। বাংলাদেশ আছে ১২৮তম অবস্থানে। নিজেদের মাঠে খেলছে তারা। ২০১৮ সালের অলিম্পিক বাছাইয়ে মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বিপক্ষে থাকা এসব সংখ্যা অতিক্রম করে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল।
আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে মেয়েদের এশিয়া কাপের আসর। টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১২ দল। এর মধ্যে স্বাগতিক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সরাসরি টুর্নামেন্ট খেলবে। ২০২২ সালের এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্স আপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান সরাসরি আগামী এশিয়া কাপে খেলবে। বাকি আট দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে। আট গ্রুপে বাছাইপর্বে অংশ নেওয়া ৩৪ দলকে রাখা হয়েছে। আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের টিকিট পাবে।
বাংলাদেশ দুই ম্যাচেই জয় পাওয়ায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে শীর্ষে আছে। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলে তিন জয় নিয়ে এশিয়া কাপ নিশ্চিত হবে মেয়েদের। ড্র করলেও এশিয়া কাপে খেলতে বাধা থাকবে না। তবে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে থাকা তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে অঘটন ঘটিয়ে হেরে গেলে এবং বাহরাইনের বিপক্ষে মিয়ানমার জিতলে গোল ব্যবধানে কারা এশিয়া কাপে যাবে তা নির্ধারণ হবে।