উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিকেল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই উপদেষ্টা মাইলস্টোন কলেজে আসেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এরপর বের হয়ে আসার সময় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ঘিরে ফেলেন।
ডিএমপির বিমানবন্দর জোনের পেট্রল ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম লিটন জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে মাইলস্টোন স্কুলের পেছনের গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গাড়িতে তুলে দেন। দুই উপদেষ্টা দিয়াবাড়ি বেড়িবাদ সড়ক দিয়ে চলে গেছেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বের হওয়ার পর দিয়াবাড়ি গোলচত্বরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব। পরে সেখান থেকে তাঁদের গাড়ি ঘুরিয়ে আবার কলেজ ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়।
বিকেল সাড়ে তিনটায় গোলচত্বর এলাকায় খবর রটে, ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকা দুই উপদেষ্টা গাড়িতে করে বের হয়ে আসছেন। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে আগে থেকে বিক্ষোভরত মাইলস্টোন স্কুলের শতশত শিক্ষার্থী স্কুল সংলগ্ন সড়কটি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের বাধা দিলে তারা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা দুইবার ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। এরপরও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের সঙ্গে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং কিছুসংখ্যক এলাকাবাসী ও যোগ দিয়েছেন।
এর আগে বেলা পৌনে ১টার দিকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা প্রতিটা দাবি পূরণ করব। বিশ্বাস রাখেন। তবে উপদেষ্টার বক্তব্যের পরও বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।