শেরপুরের নকলায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে সাকিল মিয়ার (১৮) নামে এক স্কুলছাত্রের পা কেটে নেওয়ার নির্মম ঘটনায় বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক অসহায় বাবা। প্রতিদিনই কোনো না-কোনো দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে বিচার দাবি করছেন সাকিলের বাবা আমির হোসেন।
জানা গেছে, গত ১৫ জুন (রবিবার) সন্ধ্যায় নকলা উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়নের বারইকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্র সাকিলের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় দা দিয়ে তার বাঁ পা ও হাত কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষ। পরে গুরুতর আহতবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাকিলের বাঁ পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়।
সাকিলের বাবা আমির হোসেন বলেন, ঘটনার পরদিন আদমপুর গ্রামের লালু বাদশার ছেলে হাসিবুল (২০), অন্তিম (২২), ইস্রাফিলসহ (৪৯) পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সাকিল ও একই স্কুলের ছাত্র হাসিবুলের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও এর জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে।
সাকিলের স্বজনেরা জানান, হামলার সময় সাকিল বাড়ির বাইরে ছিল। হঠাৎ হাসিবুল ও অন্যরা এসে দা দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।
নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম বলেন, ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।