সত্যানুসন্ধান বা ফ্যাক্ট চেক বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশে এজেন্সি ফ্রান্স প্রেস (এএফপি) এর প্রধান এবং এএফপি ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দিন শিশির বলেছেন, সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সাথে যা ঘটেছে তা অন্যায়, লজ্জাজনক। সুস্থ সমাজে এমন ঘটনা ঘটে না। তিনি এধরনের ঘটনা দমনে সরকারের ব্যর্থতা খুবই স্পষ্ট ও নিন্দাযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন।
তবে শিশির বলেন, কিন্তু একই সাথে এটাও স্পষ্টভাবে বলতে হবে যে, ২০১৮ সালের রাতের ভোট আয়োজন যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে সেই অপরাধের অন্যতম ডিজাইনার (অন্তত পদাধিকার বলে) নুরুল হুদা একজন ক্রিমিনাল। তার বিরুদ্ধে সম্ভবত বিএনপি মামলাও করেছে।

শিশির লেখেন, ৫ আগস্টের পর এই অপরাধীকে (এবং অন্য ভোট চোরদেরকে) আইনের আওতায় আনার কোনো উদ্যোগ সরকার নেয়নি। অপরাধী নুরুল হুদা নিজেও তার অপরাধের বিষয়ে মোটেও অনুতপ্ত নয়। গত ১০ মাস ধরে সে দেশেই আছে এবং একবারের জন্যও কোথাও তার অপরাধের জন্য অনুতাপ বা দুঃখ প্রকাশ করেনি। যেন ১৮ এর নির্বাচনে এই লোকের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যা করেছে তা খুবই সাদাসিধে কাজ। (আজকে দেখলাম আদালতে সে নিজেকে এমন সাদাসিধে ভাবেই উপস্থাপন করেছে।) যদি সে আসলেই সৎ লোক হতো এবং বাধ্য হয়ে হাসিনার ভয়ে ওই রাতের ভোটের অপকর্ম করতে হয়েছে এমন হতো তাহলে হাসিনা পালানোর পর সে জাতির সামনে তার ওই বাধ্য হয়ে করা অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতো।
তিনি আরো লেখেন, এই কনটেক্সট বাদ দিয়ে যারা তার গতকালে ভিকটিম হওয়ার ঘটনায় তাকে মুক্তিযোদ্ধো বানিয়ে আহা উহু করছেন তারা আসলে ১৮ সালের ভোট চুরিকে প্রকাশ্যে বা মনে মনে সেলিব্রেট করা ফেসবুক বুগধিজীবী। এদের একাউন্টে ঢুকে দেখেন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ এর আগে পরে এরা কী লিখেছিলেন ফেসবুকে।