চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় আন্তনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস আপ ও চিত্রা এক্সপ্রেস ডাউন ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ২টায় আটকে বিক্ষোভ করছিলেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্র। এসময় তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে বসে সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে বরং দেশের খ্যাতনামা সকল ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় প্রতিনিধির নাম ধরে মাইকে ‘ওই পত্রিকায় নিউজ করলে সমাধান হবে’ বলে নসিহত করেন।
এর ফলে আন্দোলনকারীরা তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে। এসময় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে ট্রেনটিকে নিরাপত্তাহীন রেখেই দায়িত্বহীনভাবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে আন্দোলনকারীরা আরো ক্ষুদ্ধ হন। পরে চুয়াডাঙ্গা থেকে সেনাসদস্যরা এসে আন্দোলনকারীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা শেষে তাদের যৌক্তিক আন্দোলন সমাধানের জন্য ১ সপ্তাহ সময় নিলে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তারপর বেলা ৪টায় সুন্দরবনসহ আটকে পড়া আরো ৩টি ট্রেন গন্তব্যে রওনা দেয়।
এপ্রসঙ্গে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র বলেন, আমি এটা না বুঝেই বলে ফেলেছি। আপনারা কিছু মনে করবেন না।
উল্লেখ্য, বিগত ফাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় তিথি মিত্র স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের বিস্বস্ত হিসেবে জীবননগর উপজেলায় এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান সরকারের আমলে তিনিই আবার পদন্নোতি নিয়ে দামুড়হুদায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।