ঠিক কোন কারণে ক্যানসার হয়, এর উত্তর আজো খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, ক্যানসারের পেছনে বিভিন্ন ফ্যাক্টর দায়ী। তার মধ্যে যেমন জেনেটিক কারণ রয়েছে, তেমনই আছে লাইফস্টাইলও। ধূমপান, অলস জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আবার এমনও খাবার রয়েছে, যা ক্যানসারের কোষ বাড়তে দেয় না। কোষকে সুরক্ষিত রাখে। সুতরাং, সঠিক খাদ্যাভ্যাস আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তিনটি খাবার রয়েছে, যা ডায়েটে রাখলে অনেকাংশে কমে যাবে ক্যানসারের ঝুঁকি।
ব্রকোলি
ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে হলে খাদ্যতালিকায় ব্রকোলি রাখুন। এই সবজির মধ্যে সালফোরাফেন নামের যৌগ রয়েছে। এটি এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মলিকিউল। এটি শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে। শরীরের প্রদাহ কমায় এবং কোষকে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। এর জেরে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ব্রকোলির বদলে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটের মতো সবজিতেও এই উপাদান মিলবে।
ব্লুবেরি
আকারে ছোট হলেও গুণ অনেক বেশি। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভনয়েডে ভরপুর হয় ব্লুবেরি। এটি শরীরের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং প্রদাহ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ব্লুবেরি। ক্যানসারসহ একাধিক ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমিয়ে ফেলতে পারে ব্লুবেরি।
টমাটো
সুস্থ জীবনযাপন করতে হলে ডায়েটে টমাটো রাখুন। টমাটোর মধ্যে লাইকোপেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রস্টেট ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে টমাটো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
তবে মনে রাখতে হবে—শুধু টমাটো, ব্লুবেরি বা ব্রকোলি খেয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি এড়ানো যায় না। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলাও জরুরি।