জুলাই-আগস্টের শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বর্তমান সরকার বেওয়ারিশ শহীদদের পরিচয় শনাক্তে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) সভাপতি রিফাত রশিদ।
আজ শুক্রবার (০৪ জুলাই) দুপুরে রায়েরবাজার বধ্যভূমি কবরস্থানে গণকবর জিয়ারত শেষে এ ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলেও উল্লেখ করেন বৈছাআ সভাপতি।
এতদিনে বেওয়ারিশ শহীদদের পরিচয় শনাক্তে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে গণকবর তৈরি করেছিল, ফ্যাসিস্ট হাসিনাও সেভাবে গণকবর তৈরি করেছে।
এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আমলে পুলিশ আবারো হাসিনার আমলের মতো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রিফাত রশিদ বলেন, রোহিঙ্গা শহীদ নূর মোস্তফা স্বীকৃতি পেলেও একজন বিহারি শহীদ মো. রনি এখনো স্বীকৃতি পায়নি। গণহত্যাকারীদের বিচারপ্রক্রিয়ার গতি দেখলে কচ্ছপও লজ্জা পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা ক্ষমতার মোহে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট থেকে সরে গেছেন।
এসময় বৈছাআর সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হাসান বলেন, আগামী তিন দিন সারাদেশের সকল শহীদদের কবর জিয়ারত ও তাদের স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ এবং আহতদের খোঁজখবর নেওয়া হবে। পরবর্তী রিপোর্ট নিয়ে সরকারের সাথে কথা বলবেন তারা।
ফ্যাসিস্ট রেজিমের অনেক ভ্যানগার্ড এখনো বহাল তবিয়তে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও বেওয়ারিশ শহীদদের পরিচয় শনাক্তে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ময়নাতদন্ত বা ডিএনএ টেস্ট করে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।