কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৪ জুলাই) বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতদের পরিবারের স্বজনরা। মামলায় পরিকল্পিতভাবে পরিবারটির বিরুদ্ধে জনরোষ উসকে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কড়ইবাড়িতে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহত হন রুবি আক্তার, তার মেয়ে রুমা ও ছেলে রাসেল। রাসেলের স্ত্রীর অভিযোগ, আগের রাতেই পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার দাবি, ঘটনার পরিকল্পনা ও সূত্রপাত অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া ও বাছিরকে উসকে দেন মব তৈরি করে হত্যার জন্য। তবে শিমুল বিল্লাহ বলেন, উত্তেজিত জনতাকে থামতে বলেছিলেন। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রুবি ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এবিষয়ে কথা বলতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এক মেম্বার গেলে রুবি ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালান। এসময় রুবি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে মেয়ে জোনাকি পালানোর চেষ্টা করলে তাকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
তবে পুলিশ বলছে, রুবি আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। তবুও এধরনের মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। আমরা ইতিমধ্যে এজাহারনামীয় ৩৮ আসামির মধ্যে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।