শরীরের কথা ভেবে অনেকেই পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে খান। আবার অনেকে মুখেও কিসমিস ভেজানো পানি মাখেন। এতে ত্বক ভালো থাকে। তবে কিসমিস ভেজানো পানির উপকারিতা এখানেই শেষ নয়। চুলেরও যত্ন নেয় কিসমিস ভেজানো পানি। এই পানীয় খেয়ে কিংবা মাথায় মেখেও চুলের হাল ফেরাতে পারেন।
কিসমিস ভেজানো পানি চুলে যে উপকারিতাগুলো আনবে
১. নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে কিসমিস ভেজানো পানি। এই পানীয়ের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল দ্রুত বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
২. চুল পড়া কমাতে সহায়ক কিসমিস ভেজানো পানি। এই পানীয়ের মধ্যে আয়রন রয়েছে, যা দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে যেমন স্কাল্পে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, তেমনই চুল পড়ার সমস্যা কমে।
৩. কিসমিস ভেজানো পানি ভিটামিন সি রয়েছে। এটি দেহে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। এটি যেমন চুলের অকালপক্কতা রোধ করে, তেমনই চুলের গোড়া মজবুত করে। এতেও চুলের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।
৪. রোজ কিসমিস ভেজানো পানি খেলে স্কাল্পের প্রদাহ কমে। এতে খুশকির সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। পাশাপাশি স্কাল্পে কিসমিস ভেজানো পানি মাখলে চুলকানি, খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়।
৫. কিসমিস ভেজানো পানি ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং চুলের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও চুলকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়। চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয় এবং চুলের জট ছাড়াতে সাহায্য করে কিসমিস ভেজানো পানি।
চুলের যত্নে যেভাবে ব্যবহার করবেন কিসমিস ভেজানো পানি
চুল ধুয়ে নিন
আগের দিন রাতে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন শ্যাম্পু করার পর এই কিসমিস ভেজানো পানি চুলে ঢালুন। হালকা হাতে স্কাল্পে মালিশ করুন। এর পর ১০-১৫ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিন।
হেয়ার মাস্ক
কিসমিস ভেজানো পানির সাথে টক দই, নারকেল তেল ও মেথির পেস্ট মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি চুল ও স্কাল্পে ৩০ মিনিট মেখে বসে থাকুন। তারপরে চুল ধুয়ে নিন। এ ছাড়া রোজ সকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি খান।